GARANGIA IS. RABBANI MOHILA FAZIL MADRASAH
SHATKANIA,CHITTAGONG. EIIN : 105049
সাম্প্রতিক খবর

 

আলহামদু লিল্লাহ্, আচ্ছালাতু ওয়াচ্ছালামু আলা আশরফিল আম্বিয়া - ই - ছৈয়্যদুল মুরসালীন। মাহান আল্লাহ পাক সুব্হানাহু ওয়া তা’আলার দরবারে লাখো শুকরিয়া যে, তিনি আঠার হাজার মাখ্লুকাতের মধ্যে মানব জাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মহান রাব্বুল ইজ্জত এ মহান সৃষ্টি মানবজাতিকে সর্বোৎকৃষ্ট জ্ঞান দান করেছেন - যা আর কোন সৃষ্ট জীবকে দান করেননি। তাই মহান আল্লাহ তা’আলার সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিলের সময় ফেরেশ্তা জিব্রাইল (আ:) এর মাধ্যমে তার মনোনীত আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স:) কে পবিত্র ওহীর মাধ্যমে বললেন, “পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে”।


          অপরদিকে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত- আলোর দিশারী সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী, মহামানব হযরত মুহাম্মদ (স:) ঘোষণা করলেন, “প্রত্যেক মুসলিম নর - নারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ”। অতঃপর কালের পরিক্রমায় মানুষ জ্ঞান অর্জনের মোহে ছুটেছে দেশ থেকে দেশান্তরে। জ্ঞানার্জন-শিক্ষার্জনের অপরিহার্যতায় মানুষ প্রতিষ্ঠা করেছে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাঙ্গন-পাঠশালা।


 নেপথ্য কথাঃ-

          প্রখ্যাত অলীকুল শিরোমণি, বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক জগতের প্রাণ পুরুষ হযরত আলহাজ্ব শাহ্ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ ছিদ্দিকী হামেদী প্রকাশ হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) সত্তরের দশকের শেষের দিকে ভাবলেন- পুরুষদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে- যাতে তারা সহজেই জ্ঞানার্জন করতে পারে। ইসলামী শরীয়ত মতে সহ-শিক্ষা নিষিদ্ধ বিধায় মুসলিম নারীদের জন্য বিশেষতঃ দ্বীনি জ্ঞানার্জন খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। তৎসময়ে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে মহিলাদের জন্য আলাদা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার কথা চিন্তাই করা যায়না। কিন্তু মহিলাদের জন্য পৃথক শিক্ষার ব্যবস্থা করা না হলে তো হুজুর পাক (স:) এর অমূল্য হাদিছ অপূর্ণই থেকে যায়। এ গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়টিকে নিয়ে হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) গভীর চিন্তায় মগ্ন হলেন। তিনি মনে মনে আরো ভাবলেন, রোজ হাশরের ময়দানে মহান আল্লাহপাক সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যদি প্রশ্ন করেন, “হে আব্দুর রশিদ, তুমি পুরুষদের দ্বীনি ইলম হাসিলের জন্য অনেক কিছু করেছ, নারীদের জন্য কি করেছ?” তখন আমি মহান আল্লাহপাকের দরবারে কি জবাব দেব? নারী শিক্ষার বিষয়ে এ মাহান আল্লাহর অলী তাঁর মানসিক চিন্তার কথা প্রায়শই সবাইকে বলতেন।

মাদ্রাসার নাম ও অবস্থানঃ-

          আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) উপরিউক্ত হাদিছের বাস্তবায়ন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর নারী সমাজকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার অভিষ্ট লক্ষ্যে নিজ বাড়ীর সামনে নিজস্ব জায়গায় এ মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক চিন্তা ভাবনা করে উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক সাধক, ইমামুত ত্বরিক্বত, ইমামে রব্বানী, মোজাদ্দেদে আলফে সানী, শেখ আহমদ ফারুকী চরহিন্দি (রহ:) এর নামানুসারে প্রথমে অত্র মাদ্রাসার নামকরণ করেন, “গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী বালিকা মাদ্রাসা”। কিন্তু কালের পরিক্রমায় ভবিষ্যতে উচ্চতর শ্রেণি খোলার সুদূর প্রসারী চিন্তা-ভাবনা থেকে আলহাএ.টি.এম মমতাজুল ইসলামের পরামর্শে ও সবার সম্মতিক্রমে মাদ্রাসার নাম আংশিক পরিবর্তন করে ‘বালিকা’ এর স্থলে ‘মহিলা’ স্থাপন করতঃ “গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা মাদরাসা” চুড়ান্ত নামকরণ করা হয়। তদানুযায়ী সরকারী ভাবে তা প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত।

          চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত ‘দরবারে আলীয়া গারাংগিয়া শরীফ’ সকলের কাছে একটি সুপরিচিত নাম। সাতকানিয়া উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণ দিকে ডলু নদীর পাড় দিয়ে (০৪) চার কি.মি এবং চট্টগ্রাম-কক্স বাজার মহাসড়ক লোহাগাড়া উপজেলার তেওয়ারী হাটস্থ দরবারের প্রধান গেইট থেকে শাহ্ মজিদিয়া রোড হয়ে সোজা পশ্চিম দিকে ৫ কি.মি দূরে হাতিয়া তটনী ও ডলু নদীর পরিবেষ্টিত দরবারে আলীয়া গারাংগিয়া কমপ্লেক্সে অবস্থিত এটি একটি অন্যতম দ্বীনি নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নদী বিধৌত ডলু নদীর পাড়ে সুন্দর, মনোরম, স্বাস্থ্যকর ও ছিমছাম পরিবেশে দৃষ্টি নন্দন মনোলোভা এ প্রতিষ্ঠান।

মহিলা মাদ্রাসার কার্যক্রমঃ-

          উপরিউক্ত বিষয়ের আলোকে হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) সর্ব প্রথম ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে মহিলা মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করেন। সৌভাগ্যবতী প্রথম ছাত্রীদের মধ্যে তাঁর পুত্রের ঘরের নাতনী মোছাম্মৎ খালেদা আক্তার ও কন্যার ঘরের নাতনী মোছাম্মৎ জাহেদা আক্তারের নাম উল্লেখযোগ্য। তখন আলাদাভাবে শ্রেণি কক্ষ তৈরি না করেই ঐতিহ্যবাহী গারাংগিয়া মাদ্রাসায় বিকাল বেলায় পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। ছাত্রী সংখ্যা ও শ্রেণি সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে তিনি আলাদা মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন।

 মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাঃ-

          দিন দিন ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষক - শিক্ষিকার প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করায় হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) গারাংগিয়া আলীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন পূর্ব পার্শে স্বীয় জায়গায় ধানী জমি ভরাট করে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ১০ কক্ষ বিশিষ্ট বেড়া নির্মিত টিন শেডের একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। কিন্তু ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের প্রলয়ংকরী ঘুণিঝড়ে তা সম্পূর্ণরূপে বিধস্ত হয়ে যায়। তৎপ্রেক্ষিতে গারাংগিয়া আলীয়া মাদ্রাসা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।


ইতোমধ্যে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ পবিত্র রমজান মাসের প্রথম খতমে তারাবীর নামাজে হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর সকালে বার্ধক্যজনিত রোগে ইন্তেকাল করে মহান আল্লাহর পরম সান্নিধ্যে চলে যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না----)। তখন আমরা সব ভাইয়েরা হযরত আব্বা হুজুর (রহ:) এর আরাধ্য ও অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধন্ত গ্রহণ করি।  ইতোপূর্বে উল্লেখিত  স্থানে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে আব্বা হুজুর (রহ:) এর জীবদ্দশায় তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব কর্ণেল (অব:) অলী আহমদ বীরবিক্রম এর মাধ্যমে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং বর্তমান মাদ্রাসা ভবনের পশ্চিম পার্শে ছয়টি পাকা পিলার নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) এর ইন্তেকালের পর চরম বৈরী ও প্রতিক‚ল অবস্থার মধ্যে আমরা ভাইয়েরা সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়ে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ১৫০ ফুট পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর - দক্ষিণ এল (খ) সাইজের বহুতল বিশিষ্ট মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করি। সর্ব সাধারণ বিশেষ করে হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:)এর ভক্ত মুরিদানদের সার্বিক সহযোগীতায় প্রায় বিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সে বৎসরেই প্রথম তলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।

অবকাঠামো উন্নয়নঃ-

            পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের ভৌত অবকাঠামো তথা প্রথম তলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। তৎপরবর্তীতে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে মাদ্রাসার দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে পূর্বাংশের দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ২০০০-২০০১ অর্থ বৎসরে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ফ্যাসেলিটিজ বিভাগের সহযোগীতায় সতের লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাদ্রাসার পূর্ব-দক্ষিণ পার্শে ৯০ ফুট লম্বা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে মূল একাডেমিক ভবনের পূর্বাংশের দ্বিতল ভবনকে পনের লক্ষ টাকা ব্যয়ে আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রিতল ভবনে উন্নীত করা হয়। তৎপরবর্তীতে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রায় দশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উত্তর পার্শের দ্বিতল ভবনকে ৫৫ ফুট দীর্ঘ ত্রিতল ভবনে উন্নীত করা হয়। তাছাড়া ক্রমবর্র্ধমান ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শ্রেণি কক্ষের সংকুলান না হওয়াই আই.ডি.বি ভবনকে দ্বিতল ভবনে উর্ধ্বোমূখী স¤প্রসারণের কাজ সরকারী পর্যায়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সর্বোপরি হোস্টেলে অবস্থানরতা নিবাসী ছাত্রী ও সাধারণ ছাত্রীদের নামাজ আদায়ে অসুবিধ হেতু ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে দ্বিতল বা ত্রিতল ভবনের উপর একটি মহিলা মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নিরলস প্রচেষ্টার ফলে আল্লাহ পাক সুবহানাহুর অশেষ মেহেরবানিতে সোনাকানিয়ার বিশিষ্ট দানবীর ইঞ্জিনিয়ার জিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব নূর আহমদ সাহেবের একক অর্থায়নে প্রায় পনের লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়।

ছাত্রী নিবাসঃ-

          মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মাদ্রাসার অবস্থান, পরিবেশ, সর্বোপরি যুগোপযোগি পাঠক্রম, পাবলিক পরীক্ষায় প্রতি বৎসর তুলনামূলক সর্বোচ্চ ভাল ফলাফল করায় দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রী-অভিভাবকদের কাছ থেকে বার বার অনুরোধ ও শুভানুধ্যায়ী মহলের চাপে বিগত ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রæয়ারিতে সর্ব সম্মতিক্রমে আমার জন্নাত বাসিনী মায়ের নামানুসারে পূর্ব পার্শের দ্বিতল ভবনে “মা হাজেরা ছাত্রী নিবাস” ইউনিট-১ নামীয় ছাত্রী নিবাসের উদ্বোধন করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২০০৫ ও ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে আরো দুইটি ইউনিট চালুর মাধ্যমে মোট তিনটি ইউনিট চালু রয়েছে। পানি, বিদ্যুৎ, সংযুক্ত বাথ-টয়লেট সহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উক্ত ছাত্রী নিবাসে বর্তমানে দূর -দূরান্ত থেকে আগত প্রায় ৮৭ জন ছাত্রী, একজন সুযোগ্য মাহিলা হোস্টেল সুপার, দুই জন মহিলা হোস্টেল সহকারী সুপার ও একজন মহিলা আয়ার সার্বক্ষণিক তদারকীতে ছাত্রী নিবাসটি পরিচালিত হচ্ছে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ৪র্থ তলার পূর্বাংশে ৪র্থ ইউনিটের নির্মাণ কাজ শুরু করে তা ২০১১ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন করা হয় এবং বর্তমানে ৪র্থ তলার উত্তর - পশ্চিম পার্শের নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তের পথে রয়েছে।

 বালিকা এতিমখানার শুভ উদ্বোধনঃ-

          অলীকুল শিরোমণি ও অত্র মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোজাদ্দেদে যমান হযরত শাহ্ আল্লামা আবদুর রশিদ ছিদ্দিকী  হামেদী হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) এর আরাধ্য ধারণা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে অত্র মহিলা মাদ্রাসার পূর্ব পার্শে ৪র্থ ইউনিটকে বালিকা এতমিখানা হিসেবে চালু করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে উক্ত সিদ্ধাএন্তর আলোকে বিগত ২৯শে মার্চ ২০১২ খ্রিস্টাব্দে উক্ত বালিকা এতিমখানার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়। উক্ত শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) থেকে নির্বাচিত মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব মাওলানা আ.ন.ম শামশুল ইসলাম এম.পি উপস্থিত ছিলেন এবং উক্ত অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন বড়হুজু কেবলা (রহ:) এর সুযোগ্য ছাহেবজাদা গারাংগিয়া দরবারের পীর ছাহেব বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হযরত আলহাজ্ব শাহ্ মাওলানা মুহাম্মদ আনওয়ারুল হক ছিদ্দিকী এবং উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমার শ্রদ্ধাস্পদ বড় ভাইজান দরবারে আলীয়া গারাংগিয়ার পীর ছাহেব বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হযরত আলহাজ্ব শাহ্ মাওলানা হাফেজ মাহমুদুল হাসান ছিদ্দিকী।


          আপাত শুধু মাত্র আলিম ১ম ও ২য় বর্ষের ছাত্রীদের জন্য আবাসিক সুযোগ-সুবিধা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। পূর্বে তারা সম্পূর্ণ বিনা খোরাকীতে থাকা-খাওয়ার সুবিধা ভোগ করত। সা¤প্রতিকালে আর্থিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় যাদের প্রাপ্ত জি.পি.এ ৪.৫০ এর নিচে তাদের আংশিক খোরাকী প্রদান করতে হয়। দাখিল পর্র্যায়ের (৮ম শ্রেণি হতে উপরে) নিবাসী ছাত্রীদের মাসিক এক হাজার টাকা খোরাকী প্রদান করতে হয়। স্থান সংকুলানের অভাবে বর্তমানে ছাত্রী নিবাসে পর্যাপ্ত পরিমাণের ছাত্রী রাখার সুযোগ নেই। অদূর ভবিষ্যতে ছাত্রী নিবাসটি উর্ধমুখী স¤প্রসারনের পরিকল্পনা ররেছে। নিবাসী ছাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য উপরে-নিচে লোহার গ্রীল ও গেইটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। নিবাসী ছাত্রীদের খাদ্য তালিকায় খাসী, মুরগী, মাছ ও সবজি পর্যায়ক্রমিক সপ্তাহিক দিনগুলোতে আলাদা ভাবে বরাদ্দ করা হয়। বালিকা এতিমখানা শাখায় ভর্তিকৃত ছাত্রীদেরকে থাকা - খাওয়া ফ্রি সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়।

 মাদ্রাসার পাঠক্রম, ফলাফল ও অনুমোদনঃ-

          সুদক্ষ অধ্যক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা আরবি, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও অন্যান্য বিষয় যতœ সহকারে পাঠদান এবং সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক মডেল টেস্টের মাধ্যমে ছাত্রীদের লেখা-পড়ার গুণগত মানোন্নয়নের ব্যবস্থা রয়েছে। দাখিল ও   আলিম পাবলিক পরীক্ষায় প্রতি বৎসর শতভাগ পাশ ছাড়াও কেন্দ্র ভিত্তিক গুণগত মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মাদ্রাসায় বর্তমান ছাত্রী সংখ্যা প্রায় আট শতাধিক। মাদ্রাসাটি বর্তমানে ফাজিল পর্যায়ে হলেও আলিম স্তর পর্যন্ত এম.পি.ও ভূক্ত। ০১/০১/১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ হতে (স্মারক নং রিক/৭৯৩/৭ তারিখ ২৫/০৫/১৯৯৫ খ্রি.) দাখিল নবম শ্রেণীর পাঠ দানের অনুমতি, ০১/০১/১৯৯৫ খ্রি. হতে (স্মারক নং- রিক১০৬৪/০৫ তারিখ ২১/০৬/১৯৯৫ খ্রি.) দাখিল একাডেমিক স্বীকৃতি ও ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে এম.পি.ও ভ‚ক্ত হলেও একই বৎসর আওয়ামী লীগ জুন মাসে সরকার গঠন করলে পূর্ববর্তী সরকার কর্তৃক সদ্য এম.পি.ও ভ‚ক্ত করা সারা দেশের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের এম.পি.ও বাতিল করায় পুনরায় নতুনভাবে এম.পি.ও ভূক্তির চেষ্টার ফলে ০১/০৪/১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ হতে (স্মারক নং শাঃ৪/১জি-৫/৯৮/৬৭-শিক্ষা তারিখ ১৫/০৪/১৯৯৯ খ্রি) দাখিল স্তর এম.পি.ও ভুক্ত হয়। এ ব্যাপারে তৎকালীন শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ও চট্টগ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জনাব মরহুম আব্দুল মান্নান সাহেব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সহযোগীতা ও অবদানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি।

          ০১/০৭/২০০২ খ্রিস্টাব্দ হতে (স্মারক নং - রিক/১৪০৫/৯ তারিখ ৩১/০৭/২০০৩ খ্রি.) বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আলিম ক্লাস পাঠ দানের অনুমতি লাভ করে এবং যাচাই - বাচাইয়ের পর ০১/০৭/২০০৪ খ্রি হতে (স্মারক নং- রিক/২৪/৯ তারিখ ২৭/০৬/২০০৫ খ্রি.) উপরিউক্ত বোর্ড থেকে আলিম স্তরের একাডেমিক স্বীকৃতি লাভে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহ্ জাহান চৌধুরী আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করেন এবং তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তৎপরবর্তীতে আলিম এম.পি.ও ভুক্তির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই - বাছায়ের পর চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জনাব মাহবুবুল আলম হানিফ, সি.ডি.এ -এর সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম.এ ছালাম, সাতকানিয়ার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য জনাব আমিনুল ইসলাম আমিন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব মাওলানা আ.ন.ম শামশুল ইসলামের সর্বাত্মক সহযোগীতায় ২০১০ খ্রিস্টব্দের মে মাস হতে বর্তমান সরকার বাহাদুর অত্র মাদ্রাসা আলিম স্তরের এম.পি.ও ভুক্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেন। উল্লেখ্য যে, অত্র মাদ্রাসার অগ্রগামীতে মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হক ও মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিছ সাহেবের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে বর্তমান সুযোগ্য অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ নূরুল আলম ফারুকী ছাহেবের অবদান অত্র মাদ্রাসার স্মৃতিতে চিরকাল অ¤øান হয়ে থাকবে।

 বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির অবদানঃ-

          অত্র গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা ফাজিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় যারা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য ও সহযোগীতা করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্স (এম.ই.বি) গ্রæপ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব আহমদ হোছাইন (যার অবদান দরবারে আলীয়া গারাংগিয়ার প্রতিটি আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে), ওয়েল গ্রæপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (বর্তমান সিডিএ চেয়ারম্যান) জনাব আলহাজ্ব অধ্যাপক এম.এ ছালাম, মেসার্স এস.আলম গ্রæপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার জিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব নূর আহমদ (মহিলা মসজিদ নির্মাণে যার একক অবদান), সাতকানিয়া পৌর সভার বর্তমান মেয়র জনাব আলহাজ্ব মুহাম্মদুর রহমান, ইম্পাল্স ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ সেলিম, মেসার্স টি.কে গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আলহাজ্ব আবুল কালাম, মেসার্স মোজাহের ঔষধালয়ের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু তাহের, মেসার্স নোমান গ্রæপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, মেসার্স আজিজ গ্রæপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব আজিজুল হক চৌধুরী নান্না মিয়া, চট্টগ্রাম নিউমার্কেট সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আলহাজ্ব আলমগীর আলম, চট্টগ্রাম নিউমার্কেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আলহাজ্ব মুহাম্মদ আজম সহ আরো অসংখ্য দানবীরের অপরিমেয় অবদান অত্র গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অভাবনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন স্বল্প সময়ে সম্ভব হয়েছে। বিন্দু বিন্দু জল যেমন সিন্ধু-মহাসাগর সৃষ্টি করে তেমনি সবার সম্মিলিত ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সাহায্য ও সহযোগীতায় আজ অত্র মহিলা মাদ্রাসাকে মহিরুহে পরিণত করেছে। মহান দাতাদের যারা আজ পরলোকগত ছদকায়ে জারীয়ার উছিলায় মহান রব্বুল আ’লামীন তাঁদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন, আর যারা জীবিত আছেন- মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁদের দুনিয়া ও আখেরাতের স্থান বুলন্দ করুন। আমিন।

মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন বাধা উত্থীর্ণঃ

          অত্র মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পথ কুসুমাস্তÍীর্ণ ছিলনা। সমাজের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত নারী সমাজকে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করার নিমিত্তে এ মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে পদে পদে বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে। কিন্তু কোন বাধা ও ষড়যন্ত্র এর অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস ছিল, আল্লাহর অলীদের ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেন। আল্লাহর অলীদের যেখানে নেক নজর রয়েছে এবং আল্লাহ পাক যেটাকে কবুল করেছেন-দুনিয়ার কোন শক্তি নেই সেটা রোধ করতে। অত্র মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) এর জীবদ্দশায় সর্বপ্রথম বাধা আসে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে। তৎকালীন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (সম্ভবত জনাব ইউনূছ সিকদার) গারাংগিয়া কামিল মাদ্রাসার মঞ্জুরী নবায়নের মিমিত্তে এখানে মাদ্রাসা পরিদর্শনে আসেন ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সে বছর ফেব্রæয়ারি মাসেই তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রীর মাধ্যমে অত্র মহিলা মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও ছয়টি পাকা পিলার নির্মাণ করা হয়। মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে গারাংগিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বোর্ডেও চেয়ারম্যান সাহেব বললেন, “অধ্যক্ষ সাহেব, পূর্বদিকে ঐটা কিসের সাইনবোর্ড?” অধ্যক্ষ সাহেব বললেন, “ঐটা মহিলা মাদ্রাসার সাইনবোর্ড, ওখানে মহিলা মাদ্রাসা হচ্ছে।” তখন চেয়ারম্যান সাহেব অধ্যক্ষ সাহেবকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, “ওখানে কোন মহিলা মাদ্রাসা করা যাবেনা, আপনি ঐগুলি তোলে ফেলবেন।” পরবর্তীতে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে গারাংগিয়া মাদ্রাসায় অডিট করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একজন অডিটর আসলেন এবং আমাকে ডেকে বললেন, “গারাংগিয়া মাদ্রাসায় কোন মহিলা ক্লাস চালানো যাবেনা।” অথচ এর আগের মাসেই আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় আব্বাজান হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) ইন্তেকাল করায় আমরা ভাইয়েরা স্বভাবতই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম বিধায় আমাদের দূর্বলতার সুযোগ গ্রহণে স্বার্থান্বেষী মহল অধিকতর তৎপর ছিল। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের প্রথমার্ধে গারাংগিয়া মাদ্রাসায় নতুন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়, যেখানে আমাদের পরিবারের কোন প্রতিনিধিত্ব ছিলনা। নবগঠিত কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, মহিলা মাদ্রাসায় কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা দেয়া যাবেনা। এখানে স্মর্তব্য যে, তখন মহিলা মাদ্রাসার যাবতীয় আয়-ব্যয় গারাংগিয়া মাদ্রাসায় হিসাব ভূক্ত হতো। এ ধরণের আরো অনেক বাধা বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে অত্র প্রতিষ্ঠান তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বর্তমানে ফাজিল স্তর পর্যন্ত পাঠদান চলছে। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতে কামিল জামাত খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

          পূনশ্চ: হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) এর অশেষ ত্যাগ -তিতিক্ষার ফসল এ মহিলা মাদরাসা। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য অকাতরে দান করেছেন। স্বীয় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসার জন্য জায়গা - জমিও কিনে দিয়েছেন। এ ছাড়া তার দেয়া এবং আমরা ভাইদের দেয়া জমির পরিমাণ ৩.৯৫ একর। তাঁর ইন্তেকালের পর মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নে আমার মরহুম অগ্রজ আলহাজ্ব শাহ মাওলানা ফরিদুল ইসলাম ছিদ্দিকী, মরহুম আলহাজ্ব শাহ মাওলানা হাবিবুল ইসলাম ছিদ্দিকী ও মরহুম আলহাজ্ব শাহ মাওলানা আমিনুল ইসলাম ছিদ্দিকী প্রতিষ্ঠা লগ্নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে আমার অগ্রজ শাজাদা আলহাজ্ শাহ মাওলানা হাফেজ মাহমুদুল হাসান ছিদ্দিকী হামেদী রশিদি ও আমার অনূজ শাহজাদা মাওলানা আনওয়ারুল ইসলাম ছিদ্দিকী নিরলস পরিশ্রম ও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। আমি একজন নগন্য কাদেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং আমার মরহুম ভাইদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ পাক তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।  

 শেষ কথাঃ-

          আরো অনেক কথা লিখার থাকলেও সময়ের সল্পতা ও নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধির আশংখায় লিখার সংক্ষেপ করি। হযরত ছোট হুজুর কেবলা (রহ:) এর আরাধ্য সাধনাকে পরিপূর্ণতা দান করতে আমাদের আরো দীর্ঘ পথ অতিক্রম ও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাই এ বিশাল কাজ সমাপনে দলমত নির্বিশেষে সকলের আন্তরিক সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। হাটি হাটি পা পা করে এ প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বত্রিশ বছরে পদার্পণ করেছে। দরবারে আলীয়া গারাংগিয়া শরীফের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তারিক সাহায্য -সহযোগিতা কামনা করে এখানেই সমাপ্তি টানছি।

 লেখক:

শাহজাদা আলহাজ্ব এ.টি.এম মমতাজুল ইসলাম ছিদ্দিকী

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি


গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা